ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নাতি-নাতনির বয়সী উপদেষ্টাদের দিয়ে অভিজ্ঞ সরকার হয় না: রিজভী মাটিকে বিয়ে করলেন সংগীতশিল্পী সানি একজন গ্রাহক কয়টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন, জানাল বিটিআরসি বিবৃতিতে যা জানাল উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক গিল গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ডাক্তারের ৯ সন্তান নিহত সিলেট সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে পুশ ইন সালমানের বাসায় ঢুকতে পারবেন না তারকারাও, লাগবে বিশেষ অনুমতি টেলিগ্রাম অ্যাপ নিষিদ্ধ করছে ভিয়েতনাম সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ‘নজরুল পুরস্কার’ পাচ্ছেন আনোয়ারুল হক ও শবনম মুশতারী ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার দাবিতে শাহবাগে ‘মার্চ ফর ইউনূস’ সুদসহ অক্ষয়কে পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দিলেন পরেশ রাওয়াল সাবেক আইনমন্ত্রীর সহযোগী তৌফিকার বিরুদ্ধে মামলা করল দুদক রাতেই দেশের ১৮ জেলায় ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা কাজ শেষ না করে আমরা কোথাও যাচ্ছি না- পরিকল্পনা উপদেষ্টা শরীরে ৯৬ চামচ, নিজের গিনেস রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস আবুলফজলের রোববার ড. ইউনূসের সাথে সর্বদলীয় বৈঠক বিয়ের অল্পদিনের মধ্যে সংসার ভেঙে যাওয়ায় ঘটককে হত্যা
জাতিসংঘের বিবৃতি

৪২৭ রোহিঙ্গাকে নিয়ে আচমকাই ডুবলো দুই নৌকা

  • আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৪:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৪:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন
৪২৭ রোহিঙ্গাকে নিয়ে আচমকাই ডুবলো দুই নৌকা
বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার উপকূলে পৃথক দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪২৭ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ হয়েছেন। আজ শনিবার (২৪ মে) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন নারী, পুরুষ ও শিশুরা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে ৯ মে। ওইদিন মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের উপকূল থেকে ২৬৭ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে রওনা হয় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা। তবে কিছুদূর এগোনোর পরই তা ডুবে যায়। নৌকাডুবির পর মাত্র ৬৬ জন যাত্রী জীবিত ফিরে আসেন, বাকিদের আর খোঁজ মেলেনি।

এর ঠিক পরদিন, ১০ মে ঘটে আরও একটি অনুরূপ দুর্ঘটনা। ওইদিনও আরাকান উপকূল থেকে একটি কাঠের ইঞ্জিনচালিত নৌকা রওনা দিয়েছিল ২৪৭ জন যাত্রী নিয়ে। একইভাবে কিছুদূর গিয়েই সেটিও ডুবে যায়। এবার বেঁচে ফেরেন মাত্র ২১ জন। নিখোঁজ বাকি ২২৬ জনের কোনো সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

এই দুই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক ব্যুরোপ্রধান হাই কিউং জুন বলেন, "মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে চলা সহিংসতা এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর লাগাতার নির্যাতন-নিপীড়ন তাদেরকে এমন বিপজ্জনক পথ বেছে নিতে বাধ্য করছে।"

রোহিঙ্গা সংকটের সূত্রপাত ২০১৭ সালের আগস্টে, যখন আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) রাখাইনের পুলিশ স্টেশন ও সেনা ছাউনিতে একযোগে হামলা চালায়। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ভয়াবহ হামলা শুরু করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে। নির্যাতন, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মুখে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে শরণার্থী শিবির স্থাপন করে তাদের আশ্রয় দেয়। এরপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর সহায়তায় খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদান শুরু হয়। বর্তমানে কুতুপালংসহ অন্যান্য শিবিরে ১৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।

৯ ও ১০ মে নিখোঁজ হওয়া রোহিঙ্গা যাত্রীরা কোথায় যাচ্ছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা উন্নত জীবনের আশায় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য কোনো দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।

কমেন্ট বক্স